May 18, 2024, 4:21 pm

রাজপথের কান্না!

রাশিদা য়ে আশরার।কবি ও সাহিত্য সম্পাদক,দৈনিক পদ্মা সংবাদ।

জীবন নদীর অববাহিকায় জেগে ওঠে
বিরহের চর;
অব্যক্ত বেদনা বুকে চলছি পৃথিবী পর!
রাজপথের কান্না শুনতে পাই,
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি জনগণ নাকাল,
নিম্নবি-মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের অবস্থা বেহাল;
পথে ঘাটে অসংগতি, চুরি ছিনতাই
ধুলাবালি মাখা রাজপথ, ট্রাফিক জ্যাম,
যান্ত্রিকতায় ভরা জীবন!
ঝরে পড়ে ফুটে থাকা অবহেলা ফুল;
হারিয়ে যায় টোকাই, ফুলকুড়ানি, অথবা
ভিক্ষার ঝুলি কাঁদে অনাদর অবহেলায়;
হারিয়ে যায় ওরা অজ্ঞাত পরিচয় নিয়ে-
থাকে আলোচনার বাইরে!

এসব নিয়ে সমাজের মাথা ব্যাথা নেই,
দেশের নাগরিক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে
পারে না নিজেদের অধিকার;
প্রতিবাদের নেই কোন ভাষা ওদের-
দাঁড়াতে পারে না ওরা জনসম্মুখে
কারণ একটাই,
ওরা হতদরিদ্র-অসহায় এটাই হলো ওদের
সবচেয়ে বড় অপরাধ;
ওদেরকে নিগৃহীত করে পুঁজিবাদী সমাজ,
ওরা বোঝেনা গণতন্ত্র,রাজতন্ত্র অথবা
সমাজতন্ত্র বা কি?
ওদের চাওয়া সীমিত ওরা চায় শুধু
মৌলিক অধিকার,
ওরা চাই শুধু একটু বাঁচতে- বন্দোবস্ত হোক,
অন্ন-বস্ত্র,শিক্ষা, বাসস্থান চিকিৎসার!

স্বৈরাচারী রূপে দেখা দেয় নগ্ন ক্ষুধার্ত বাঘ;
হায়নার মত চেপে ধরে দারিদ্রতা দুঃখ কষ্ট!
কেউ বেড়ে ওঠে রাজ প্রাসাদে জীবন
উপভোগের,
বাহারি পোশাক,নিত্যনতুন গয়না-শাড়ি,
অর্থ- সম্পদ, রকমারি খাবার,
কেউবা না খেতে পেরে জীবন মরু বালুচর,
এক দেশ-এক সমাজ,রক্তে মাংসে গড়া মানুষ
তবুও বিভেদ বিস্তর!
হায়রে জীবন পৃথিবী কারো কাছে রঙ্গমঞ্চ
রঙিন চশমা লাগিয়ে রঙের বাজার,
কারো বেঁচে থাকা জঞ্জাল নিয়তির খেয়ালে,
বেঁচে থাকাটাই যেন এক অভিশাপ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :